দেশজুড়ে সংগঠিত হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
নিজস্ব প্রতিবেদন: কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে সরকার পতনের এক দফা এবং পরবর্তীতে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের চূড়ান্ত পতনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। নতুন সরকার গঠনের চার মাস পরেও রাজনীতির মাঠে সক্রিয় দেখা যাচ্ছে অরাজনৈতিক এই সংগঠনকে।
জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলন পরিচালনায় গত ৮ জুলাই ৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক টিম গঠন করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরে ৩ আগস্ট তা বাড়িয়ে ১৫৮ সদস্যের করা হয়।
৫ আগস্ট সরকার পতনের পর গত ২২ অক্টোবর সমন্বয়ক টিম বিলুপ্ত করে চার সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কমিটিতে হাসনাত আবদুল্লাহকে আহ্বায়ক, আরিফ সোহেলকে সদস্যসচিব, আবদুল হান্নান মাসউদকে মুখ্য সংগঠক ও উমামা ফাতেমাকে মুখপাত্র করা হয়।
এর এক মাস পর ২২ নভেম্বর ১৮ সদস্যের নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করে সংগঠনটি। পদাধিকার বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র এই কমিটির সদস্য হন।
১৮ সদস্যের নির্বাহী কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতজন সমন্বয়ক স্থান পান। তারা হলেন মো. মাহিন সরকার, রশিদুল ইসলাম রিফাত, লুৎফর রহমান, নুসরাত তাবাসসুম, আহনাফ সাঈদ খান, তারেকুল ইসলাম (তারেক রেজা), তারিকুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমন্বয়ক মো. মেহেরাব হোসেন সিফাত, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিলেটের সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব, সাত কলেজ থেকে ঢাকা কলেজের মোহাম্মদ রাকিব ও মুঈনুল ইসলাম, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের সিনথিয়া জাহিন আয়েশা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইব্রাহিম নিরব রয়েছেন কমিটিতে।
এ ছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসাদ বিন রনি, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নাইম আবেদীন এবং ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি সায়েন্সের (ইউআইটিএস) মাহমুদা সুলতানা রিমি, কওমী মাদরাসা থেকে রফিকুল ইসলাম আইনি কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।
সূত্র – কালের কন্ঠ
Leave a Reply