সুনামগঞ্জের ছাতক পৌর শহরের শিববাড়ি এলাকায় ১৯৯৮ সাল হতে সুনামগঞ্জ জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা মিশুক ও ট্যাক্সিকার ড্রাইভার্স ইউনিয়ন রেজিষ্ট্রেশন নং চট্র-১৯২৬ এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে ছাতক শিব বাড়ি উপ-পরিষদ নামে একটি বৈধ কমিটি কাজ করে আসছে। এ কমিটির কাজের উপর সন্তুষ্ট হয়ে আবারও সুনামগঞ্জ জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা মিশুক ও ট্যাক্সিকার ড্রাইভার্স ইউনিয়ন রেজিষ্ট্রেশন নং ১৯২৬ ছাতক শিববাড়ি উপ-পরিষদের মোহাম্মদ রজব আলীকে সভাপতি ও মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বাদশাহকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি ৩ বছর মেয়াদের জন্য অনুমোদন দেয় গত ৯ ফেব্রোয়ারী।
কিন্তু গত বছরের ১৯ মার্চ জেলা কমিটি হতে ছাতক শিব বাড়ি উপ – পরিষদের সিএনজি স্ট্যান্ড পরিচালনা করতে ফয়সল আহমদ, দিলোয়ার হোসেন ও আব্দুল আহাদ চৌধুরীকে ম্যানেজার নিয়োগ দিলে তারা জেলার অনুমোদিত কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ রজব আলী ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান বাদশাহের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করে জুর পূবর্ক সাধারণ শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে জেলা কমিটিকে সঠিক হিসাব না দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে।
তারা বৈধ রশিদ ছাড়া নামে বেনামে রশিদ ছাপিয়ে সাধারণ শ্রমিক দের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করায় পরিবহন শ্রমিক দের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ। গত বছরের ২০ মে জেলা কমিটি হতে সাধারণ শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিলের অর্থের হিসাব চেয়ে ম্যানেজার দের কাছে চিঠি দিলে তারা চিঠির জবাব দিতে ব্যর্থ হলে গত বছরের ১১ জুন ম্যানেজারদের নিয়োগ পত্র স্থগিত করে কোন ধরনের দায়িত্ব পালন ও চাঁদা উত্তোলন না করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ম্যানেজার গণ সাধারণ শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতে নানা চল-চাতুরীর আশ্রয় নিয়েছেন।
তারা সুনামগঞ্জ জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক ইউনিয়ন রেজিষ্ট্রেশন নং সিলেট -৩৪ নামে একটি ভূয়া নাম ব্যবহার করে সুনামগঞ্জ জেলা ড্রাইভার্স ইউনিয়ন রেজিষ্ট্রেশন নং ১৯২৬ এর সদস্য দের কার্ড ও কাগজপত্রে সাক্ষর জালিয়াতি করে সাধারণ তহবিলের নামে প্রতিটি অটোরিক্সা হতে ২৫ টাকা করে ও ভূয়া পরিচয় পত্র দিয়ে সদস্য প্রতি ১৫ শ টাকা করে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছে।
সাধারণ শ্রমিকরা এসব অবৈধ চাঁদা আদায় ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে সাধারণ শ্রমিকদের উপর জুলুম নির্যাতন চালিয়ে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে অবৈধ চাঁদাবাজরা।সিএনজি চালকদের পরিচয় পত্রে জেলা কমিটি রেজিষ্ট্রেশন নং ১৯২৬ এর উপর রেজিষ্ট্রেশন নং সিলেট – ৩৪ নামে একটি ভূয়া স্টিকার লাগিয়ে চাঁদা আদায় করতে দেখা গেছ।
১০২ জন শ্রমিককে ভূয়া পরিচয় পত্র দিয়ে বিপুল সংখ্যক টাকা আত্মসাত করলেও দেখার কেউ নেই।এসব অবৈধ চাঁদা আদায় বন্ধে শিব বাড়ি উপ – কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ রজব আলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ছাতক থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়ে প্রশাসনের দারেদারে ঘুরলেও কোনো সঠিক বিচার পাচ্ছেন না।
এব্যায়াপারে অভিযুক্ত শিববাড়ি উপ-পরিষদের ম্যানেজার আব্দুল আহাদ চৌধুরী জানান শিববাড়ি উপ-কমিটির বৈধ সভাপতি রজব আলী। কিন্তু আমার সাথের দুই জন ম্যানেজার প্রভাব খাটিয়ে তাকে দায়িত্বে হস্তান্তর করছেনা।আমি ও তাদের হুমকি ধামকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম জানান বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্ন না ঘটার জন্য থানার অফিসার ইনচার্জকে দায়িত্ব দিয়েছি।
Leave a Reply